ব্রিটেনের ৬০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নিষিদ্ধ
ব্রিটিশ হোম অফিস দেশটির ৬০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশগুলোর শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আর এসব কলেজে অধ্যয়নরত ও অধ্যয়নে আগ্রহী অধিকাংশ শিক্ষার্থীই বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের। এর মধ্যে ৫৭টি হচ্ছে বেসরকারি কলেজ ও ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলোর মধ্যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার পরিচালনা বা মালিকানায় আছেন বাংলাদেশিরা। কোর্স শেষ না হওয়া পর্যন্ত অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে এ সিদ্ধান্ত বহাল না হলেও, কোর্স শেষে নতুন করে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ থাকছে না। ফলে ভিসা ও আর্থিক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। মঙ্গলবার হাউস অব কমন্সে ইমিগ্রেশন মিনিস্টার জেমস ব্রকেনশায়ারি এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার লক্ষ্যে ইংরেজি ভাষা পরীক্ষার মিথ্যে বর্ণনা দেওয়ার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, এমন অভিযোগ পাওয়ায় বিশ্বস্ত স্পন্সর স্ট্যাটাস পাওয়া এই ৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক ছাত্র ভর্তির অধিকার স্থগিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি ব্যাপকভিত্তিক ক্রিমিনাল ইনভেষ্টিগেশন শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ব্রকেনশায়ার। তিনি বলেন, ‘পদ্ধতিগত এমন অপব্যবহার সত্যিই দু:খজনক’। বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তিতে সরকার অনুমোদিত পরীক্ষায় নিয়মিত প্রতারণার বিষয়ে বিবিসি প্যানোরমার একটি রিপোর্ট প্রকাশের পরই ইমিগ্রেশন মিনিস্টার পার্লামেন্টে ৬০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিদেশি ছাত্র ভর্তির সুযোগ স্থগিতের এই ঘোষণা দিলেন। ভিসা প্রাপ্তির জন্যে ইংরেজি ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সনদ দাখিল করার নিয়ম থাকায় ক্রিমিনাল এজেন্টরা ভুয়া কাগজপত্র দাখিলের মাধ্যমে ইংরেজি ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হিসেবে দেখানোর ব্যবস্থা করতেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে। সামান্য ইংরেজি জানা বা একেবারে ইংরেজি না জানা শিক্ষার্থীদের জন্যেও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার ওইসব সনদ সরবরাহ করতো এজেন্টরা। আর এ প্রতারণার বিষয়টি উন্মোচিত হয় প্যানারোমা রিপোর্টে। ইমিগ্রেশন মিনিষ্টার জেমস ব্রকেনশায়ার বিবৃতিতে জানান, বিদেশি শিক্ষার্থীদের ব্রিটেনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যয়নের সুযোগের অপব্যবহার সরকার কোনোভাবেই সহ্য করবে না। এই অপব্যবহারের বিরোদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদনপ্রাপ্ত সরকারি তালিকা থেকে ইতোমধ্যে ৭৫০টি ভুয়া কলেজের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রায় ৪শ প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সরকার অবগত আছে, যারা ভুয়া সনদ সরবরাহকারী এজেন্টদের সাথে যোগাযোগ রাখছে। ইমিগ্রেশন মিনিস্টার অভিযোগ করেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে ২০ ঘণ্টার বেশি কাজের অনুমতি না থাকলেও বছরে ২০ হাজার পাউন্ড উপার্জন করছে এমন বিদেশি শিক্ষার্থীও চিহ্নিত করতে পেরেছে রেভিনিউ অ্যান্ড কাস্টম বিভাগ (এইচএমআরসি)। ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধিতে সরকারের এই সিদ্ধান্ত কঠোর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এমন আশঙ্কায়ও করছেন বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। নিষেধাজ্ঞা কবলিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- প্রাইভেট কলেজ :
1. Alpha College
2. Alpha Meridian College
3. APS Computer Solutions TA Pitman Training Centre
4. Birmingham Institute of Education Training and Technology
5. Blake Hall College
6. Bloomsbury International UK
7. Bradford College of Management
8. Bradford Metropolitan College
9. Bristol College of Accountancy 10. Britain College
11. Central College London
12. Central College of Studies
13. Central Cranbrook College
14. Citizen 2000 Education Institute
15. City of London Academy
16. College of Advanced Studies 17. College of East London
18. College of Excellence
19. Cranford College
20. Essex College
21. Eynsford College
22. FBT (Finance Business Training)
23. Forbes Graduate School
24. Hammersmith Management College
25. Helios International College
26. IIM Bedford
27. Interlink College of Technology & Business Studies
28. Katherine & Kings College of London
29. Kinnaird College 30. LIT LON Ltd 31. London Academy of Management and Business 32. London College of Business Management and Computing Studies 33. London College of Finance and Accounting 34. London Corporate College 35. London Educators Ltd 36. London Premier College 37. London Regal College 38. London School of Advanced Studies 39. London School of Marketing t/a LS Business School 40. London School of Technology 41. London St Andrews College 42. LSBF (London School of Business and Finance) 43. Manchester College of Management Sciences 44. Manchester International College (International Learning Centre) 45. Manchester Trinity 46. Midlands Academy of Business and Technology 47. North West College Reading 48. Queensbury College 49. Shakespeare College 50. South London College 51. Stanfords College UK Ltd 52. Studio Cambridge 53. Superior College London 54. UK Business Academy 55. UK Vocational Training College t/a UK CAT 56. West George College 57. West London Business College
ব্রিটিশ হোম অফিস দেশটির ৬০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশগুলোর শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আর এসব কলেজে অধ্যয়নরত ও অধ্যয়নে আগ্রহী অধিকাংশ শিক্ষার্থীই বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের। এর মধ্যে ৫৭টি হচ্ছে বেসরকারি কলেজ ও ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলোর মধ্যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার পরিচালনা বা মালিকানায় আছেন বাংলাদেশিরা। কোর্স শেষ না হওয়া পর্যন্ত অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে এ সিদ্ধান্ত বহাল না হলেও, কোর্স শেষে নতুন করে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ থাকছে না। ফলে ভিসা ও আর্থিক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। মঙ্গলবার হাউস অব কমন্সে ইমিগ্রেশন মিনিস্টার জেমস ব্রকেনশায়ারি এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার লক্ষ্যে ইংরেজি ভাষা পরীক্ষার মিথ্যে বর্ণনা দেওয়ার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, এমন অভিযোগ পাওয়ায় বিশ্বস্ত স্পন্সর স্ট্যাটাস পাওয়া এই ৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক ছাত্র ভর্তির অধিকার স্থগিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি ব্যাপকভিত্তিক ক্রিমিনাল ইনভেষ্টিগেশন শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ব্রকেনশায়ার। তিনি বলেন, ‘পদ্ধতিগত এমন অপব্যবহার সত্যিই দু:খজনক’। বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তিতে সরকার অনুমোদিত পরীক্ষায় নিয়মিত প্রতারণার বিষয়ে বিবিসি প্যানোরমার একটি রিপোর্ট প্রকাশের পরই ইমিগ্রেশন মিনিস্টার পার্লামেন্টে ৬০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিদেশি ছাত্র ভর্তির সুযোগ স্থগিতের এই ঘোষণা দিলেন। ভিসা প্রাপ্তির জন্যে ইংরেজি ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সনদ দাখিল করার নিয়ম থাকায় ক্রিমিনাল এজেন্টরা ভুয়া কাগজপত্র দাখিলের মাধ্যমে ইংরেজি ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হিসেবে দেখানোর ব্যবস্থা করতেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে। সামান্য ইংরেজি জানা বা একেবারে ইংরেজি না জানা শিক্ষার্থীদের জন্যেও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার ওইসব সনদ সরবরাহ করতো এজেন্টরা। আর এ প্রতারণার বিষয়টি উন্মোচিত হয় প্যানারোমা রিপোর্টে। ইমিগ্রেশন মিনিষ্টার জেমস ব্রকেনশায়ার বিবৃতিতে জানান, বিদেশি শিক্ষার্থীদের ব্রিটেনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যয়নের সুযোগের অপব্যবহার সরকার কোনোভাবেই সহ্য করবে না। এই অপব্যবহারের বিরোদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদনপ্রাপ্ত সরকারি তালিকা থেকে ইতোমধ্যে ৭৫০টি ভুয়া কলেজের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রায় ৪শ প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সরকার অবগত আছে, যারা ভুয়া সনদ সরবরাহকারী এজেন্টদের সাথে যোগাযোগ রাখছে। ইমিগ্রেশন মিনিস্টার অভিযোগ করেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে ২০ ঘণ্টার বেশি কাজের অনুমতি না থাকলেও বছরে ২০ হাজার পাউন্ড উপার্জন করছে এমন বিদেশি শিক্ষার্থীও চিহ্নিত করতে পেরেছে রেভিনিউ অ্যান্ড কাস্টম বিভাগ (এইচএমআরসি)। ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধিতে সরকারের এই সিদ্ধান্ত কঠোর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এমন আশঙ্কায়ও করছেন বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। নিষেধাজ্ঞা কবলিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- প্রাইভেট কলেজ :
1. Alpha College
2. Alpha Meridian College
3. APS Computer Solutions TA Pitman Training Centre
4. Birmingham Institute of Education Training and Technology
5. Blake Hall College
6. Bloomsbury International UK
7. Bradford College of Management
8. Bradford Metropolitan College
9. Bristol College of Accountancy 10. Britain College
11. Central College London
12. Central College of Studies
13. Central Cranbrook College
14. Citizen 2000 Education Institute
15. City of London Academy
16. College of Advanced Studies 17. College of East London
18. College of Excellence
19. Cranford College
20. Essex College
21. Eynsford College
22. FBT (Finance Business Training)
23. Forbes Graduate School
24. Hammersmith Management College
25. Helios International College
26. IIM Bedford
27. Interlink College of Technology & Business Studies
28. Katherine & Kings College of London
29. Kinnaird College 30. LIT LON Ltd 31. London Academy of Management and Business 32. London College of Business Management and Computing Studies 33. London College of Finance and Accounting 34. London Corporate College 35. London Educators Ltd 36. London Premier College 37. London Regal College 38. London School of Advanced Studies 39. London School of Marketing t/a LS Business School 40. London School of Technology 41. London St Andrews College 42. LSBF (London School of Business and Finance) 43. Manchester College of Management Sciences 44. Manchester International College (International Learning Centre) 45. Manchester Trinity 46. Midlands Academy of Business and Technology 47. North West College Reading 48. Queensbury College 49. Shakespeare College 50. South London College 51. Stanfords College UK Ltd 52. Studio Cambridge 53. Superior College London 54. UK Business Academy 55. UK Vocational Training College t/a UK CAT 56. West George College 57. West London Business College

No comments:
Post a Comment